প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক অন্দরমহলে আলোচনা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি কেমন হবে? নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি।'
-সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে বলছেন, আওয়ামী লীগের মিষ্টি কথার ফাঁদে এবার বিএনপি পা দেবে না। তাদের দাবি আদায় না হলে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তবে বিএনপির দাবি-দাওয়া বা তাদের বক্তব্য নিয়ে চিন্তিত নন আওয়ামী লীগ নেতারা। বিএনপি সময় হলে নির্বাচনে আসবেই। আর নির্বাচনের যেহেতু অনেকটা সময় বাকি আছে তাই এখনই বিএনপির বিষয়ে বিশেষ কোনো চিন্তা করার কারণ নেই। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তিত বিধানাবলি অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদপূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ বহাল থাকাবস্থায় বর্তমান সরকারের অধীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সে হিসেবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসেবে এখনো নির্বাচনের ১৫ মাস বাকি। বর্তমান সরকারের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা সংবিধানের বাইরে কোনো পদ্ধতিতে যেতে নারাজ।
-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি এখন যতই মাঠ গরম করুক, যথাসময়ে তারা নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে না আসার মতো ভুল তারা বারবার করবে না। তারা দরকষাকষি হিসেবে নির্বাচনে না আসার বক্তব্য দিচ্ছে। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হবে। এর বাইরে সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগকে সরকার পতনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই।
'সংবিধানের বাইরে যাবে না আওয়ামী লীগ '
'এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ২৪খবরবিডিকে বলেন, সংবিধানের আলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। বিএনপি অনেক কথাই বলে। তারা নির্বাচনে আসবে না, আবার নির্বাচনে আসার নাম করে মনোনয়ন বাণিজ্য করবে, এটা তাদের দলের অতীত কর্মকাণ্ড। বিএনপি নেতাদের হুমকি এবং রাজপথে ফয়সালা করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও করতে চাইলে শক্ত হাতে তাদের প্রতিহত করা হবে।'