সর্বশেষ

তিস্তার পানি আবারও বিপৎসীমার ওপরে

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জল কপাট খুলে রেখেছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে তিস্তা চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।'
 

শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাত ৯টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে সারা দিন তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ৯টার পর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। রাত ১২টায় পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাতে তিস্তার পানি কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তেমন ভয়ের কিছু নেই।

 তিস্তার  পানি  আবারও  বিপৎসীমার  ওপরে

'এর আগে গত ১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।'

-এতে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পরে দফায় দফায় পানি কমতে শুরু করলে এসব গ্রামের সব বাড়িঘর থেকে পানি নেমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত