সর্বশেষ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ :


/ ছবি: পিআইডি /

২৪খবরবিডি: '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।'

তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ হয়তো এই কমিশন চালু করা যাবে। শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 'এস্টাবলিশ পাইলট প্রসেস টু ক্লাসিফাই কেসেস ইন কনসালটেশন উইথ দ্য জাজেস অব দ্য লেবার কোর্টস উইথ আ ভিউ টু অ্যাড্রেসিং কেস ব্যাকলগস' শিরোনামে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'কমিশন গঠন ও তার কার্প্রণালীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড যায় যায় করে যায় না। জনগণ বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করছে। এখন অর্থনৈতিক ব্যাপারেও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। নিশ্চিয়ই বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো 'প্রাওটাইজ' করতে হচ্ছে। সেজন্য হয়তো কমিশনের রূপরেখার ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যে আলাপ আলোচনা করা দরকার সেটা হয়ে ওঠেনি।' তিনি আশা প্রকাশ করেন, কিছু দিনের মধ্যে এই আলোচনা করতে পারবেন এবং এই বছর শেষ হওয়া নাগাদ কমিশন চালু করতে পারবেন।


-তিনি বলেন, 'উইচ হান্টিং' বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেওয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী

এ ছাড়া কাদের কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
কমিশন কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার যে রূপরেখা সেটা যদি উনি (প্রধানমন্ত্রী) একটু পরিবর্তন করতে চান, তার আগে আমি যদি ওটা বলে দেই তাহলে আমার মনে হয় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ সেটার ব্যাঘাত হয়।' আনিসুল হক বলেন, তিনি যে রূপরেখা তৈরি করেছেন সেটাতেই এগিয়ে যাবেন।

 

মন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্যান্য সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই সমস্যাগুলো একটা একটা করে শেষ করতে হচ্ছে। সেজন্য তাদের তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, 'সরকার ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলাকেও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। কারণ, এই মামলা ১৪ বছর পর নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন এটি উচ্চ আদালতে তড়িৎ শুনানি করে এর পরিসমাপ্তি ঘটানো হবে।'


'শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ফারুক, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন প্রমুখ বক্তৃতা দেন।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত