সর্বশেষ

পটুয়াখালী বিএনপির কমিটিতে জামায়াত, জাতীয় পার্টি

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর প্রকাশ পেয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ তুলছেন পদবঞ্চিতরা। কয়েকজন পদধারীও তা স্বীকার করেছেন।'

তাদের অভিযোগ, কমিটিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এবং ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। তারা হয়েছেন পদবঞ্চিত, অথচ কমিটিতে জায়গা পেয়েছে আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির লোকজন। করা হয়েছে স্বজনপ্রীতি, পদ পেয়েছে প্রবাসীও। এ ধরনের নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিতরা। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাহেরচর বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. কবির হোসেন তালুকদার।  তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী কৌশলে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের কমিটি থেকে বাদ দিয়েছেন। দলের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তার পছন্দের ৩৬ জন নেতাকে ইউনিয়ন কমিটির পদে রেখে আবার উপজেলা কমিটিতেও পদ দিয়েছেন। অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য প্রবাসীও পেয়েছে পদ।


-তিনি আরো বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির সমর্থক।

পটুয়াখালী বিএনপির কমিটিতে জামায়াত, জাতীয় পার্টি

তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ পন্থি জাহাঙ্গীর তালুকদারকে সহ সভাপতি, সুজাত তালুকদারকে ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পদক এবং মোতাহার মাসুমকে শ্রম বিষয়ক সম্পাদক করা হয়।

 

জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত ওসমান গণিকে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় পার্টি থেকে আসা রফিকুল ইসলামকে সদস্য করা হয়। এ ছাড়া দুজন প্রবাসী ও ঢাকায় বসবাস করা সাতজনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়।   এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পুনরায় কমিটি গঠনের জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবুল বশার হাওলাদার, আবুল হুদা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মহসিন উদ্দিন ও সহ-প্রচার সম্পাদক বেল্লাল হোসেন প্রমুখ।


-দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৭ মে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল হয়। এতে আব্দুর রহমান ফরাজী সভাপতি ও সাজাদুল ইসলাম শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত ১১ আগস্ট উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এ কমিটি ঘোষণার পরই অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে আসে।  

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত