সর্বশেষ

সত্যিকার রাজনীতি করলে জীবনের মায়া বাদ দিতে হয়

/ বিশেষ সাক্ষাৎকারে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ /

প্রকাশ :


/ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ /

২৪খবরবিডি: 'তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতির মাঠে নেমে জীবনের মায়া করলে হয় না। সত্যিকার রাজনীতি করলে জীবনের মায়া বাদ দিতে হয়। ২০০৪ সালে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও বিএনপি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন মন্ত্রী।'
 

রবিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ২৪খবরবিডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ বলেন,  'গ্রেনেড হামলার পর দেড় বছরের মতো প্রতিদিন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম হতো। প্রতিদিন মনে হতো— জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রোগ্রাম করছি। কোনও কিছুর শব্দ শুনলেই মনে হতো, গ্রেনেড হামলা হয়েছে। প্রতিদিন মনে হতো আজই  হয়তো জীবনের শেষ দিন।' তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা) অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। দেশে আসার পর ২১ বার তাকে  হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। এগুলোর মধ্যদিয়েই রাজনীতি অব্যাহত রয়েছে। আমরা যারা রাজনীতি করি, এগুলোর মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক কর্মী থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শেখ হাসিনা আমাদের জায়গা করে দিয়েছেন। জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়েই রাজনীতিটা করি। আমার জীবনে আমি বহুবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। জামায়াত-শিবির বহুবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। বিএনপিসহ অনেকে হামলা করেছে।' তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'শেখ হাসিনা জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনীতি করেন।  তাকে বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলায় তার বেঁচে থাকার কথা নয়। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন। যখন তারা দেখেছে শেখ হাসিনা মরেননি, তখন আবারও তারা গুলি করেছে। গুলি গাড়িতে লেগেছে। গুলিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সিকিউরিটি স্টাফ মাহবুব মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা ভবিষ্যতে তো আবার চেষ্টা করবে। যারা জঙ্গি, অপশক্তি, ডানপন্থি তারা তো শেখ হাসিনাকে শত্রু মনে করে। কারণ, শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, অসাম্প্রদায়িক মানুষের প্রধান নেতা। যারা সাম্প্রদায়িকতা চায়, পাকিস্তানের স্টাইলে দেশ চালাতে চায়, তাদের কাছে শেখ হাসিনা প্রধান প্রতিপক্ষ। সে কারণে তাকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়। আমাদের দায়িত্ব জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে তাকে সহযোগিতা করা। রাজনীতির মাঠে নেমে জীবনের মায়া করলে হয় না। সত্যিকার রাজনীতি করলে জীবনের মায়া বাদ দিয়ে রাজনীতি করতে হয়।'

 


 
/ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ /

'একুশে আগস্টের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, '২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করছিলাম। আমি দলেও বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ছিলাম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন সুধা সদন থেকে শেখ হাসিনার গাড়ির বহরের সঙ্গে সমাবেশে গিয়েছিলাম। সমাবেশে গিয়ে ট্রাকের নিচে দাঁড়ানো ছিলাম। কোনও প্রোগ্রামে গেলে নেত্রীর আই কন্টাক্টে থাকতাম। যেখানে দাঁড়িয়ে উনি বক্তৃতা করছেন, সেই ট্রাকের পাশে নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। নেত্রী বক্তৃতা শেষ করে ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়েছেন। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে চেয়েছেন, সে জন্য দাঁড়িয়েছেন। সেই সময় হঠাৎ একটি আওয়াজ। আমি প্রথমে মনে করেছি— টায়ার ফেটেছে,  কিন্তু পরেই আরেকটি। তখন আমার আশপাশে দেখছি— কাদের ভাই (ওবায়দুল কাদের), বাহাউদ্দিন নাছিম ছিলেন, ওরা সবাই সরে যাচ্ছেন। তখন মনে করলাম বোমা ফুটেছে। তাৎক্ষণিক মনে এলো, রাজিব গান্ধীর ওপর যেভাবে বোমা ফুটেছে, সেভাবে আমাদের এখানেও বোমা ফুটলো। তারপর অন্যদের মতো আমিও সরে যাচ্ছিলাম। তখন মনে হচ্ছিল, আমাকে পিঁপড়ায় কামড়াচ্ছে। অনেক পিঁপড়ায় আমাকে কামড় দিয়েছে। আমি দৌড়ে পার্টি অফিস ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দিকে গেলাম। সেখানে গেটটা বন্ধ ছিল।'

 

সেখানে যাওয়ার সময় ফুটপাতে ওঠার আগে আমাকে পেছনে অনেক পিঁপড়ায় কামড় দিলো, মনে হচ্ছে।  আমি অফিসে ঢুকে কয়েক পা এগোতেই দেখি আমার গায়ে রক্ত।  আমাকে যুবলীগের অফিসে নিয়ে যায়, টেবিলে আমাকে শুইয়ে দেয়। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারপর জ্ঞান ফিরলে ৪০ মিনিটের বেশি সময় পর আমাদের নারীকর্মীরা আমাকে ধরে নিচে নামালো। আমাকে বের করার সময় তারা বললো— ভাই, ওই লোকটা তো মরে যাচ্ছে, তাকে আগে বাসে তুলে দেই। আমাকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন দেখি— স্যান্ডেল, রক্ত। মানুষ মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। ওই সময় আমি প্রয়াত রাজ্জাক ভাই, সুরঞ্জিত দা, সাবের হোসেন চৌধুরীসহ আরও অনেকেই ছিলাম। আমাদের মিনিবাসটি হাসপাতালের দিকে ছাড়ার সময় আরেকজনকে তোলা হলো, তার পায়ের গোড়ালির মাংস উড়ে গেছে। সে আর বসতে পারছে না। মিনিবাসের দুই সিটের মাঝখানে শুইয়ে দেওয়া হলো। পরে সে মরে গেছে। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল হাসপাতালের দিকে পথে বাসটি জামে পড়লো। তখন মনে হচ্ছিল, আমি আর বাঁচবো না। কারণ, ব্লিডিং হচ্ছে, এনার্জি ড্রেনআউট হচ্ছে বুঝতে পারছি, আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি। যানজট ছুটে গেলে কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছালাম। হাসপাতাল দেখে মনে হলো— এবার বোধহয় বেঁচে যাবো। ইমার্জেন্সিতে দুই-তিন জন চিকিৎসক আসলেন। তারপর প্রাথমিকভাবে কিছু কাজ করে বললো— আমরা আবার আসছি। তারপর চিকিৎসকরা আর আসছেন না। রাজ্জাক ভাই আহত অবস্থায় রয়েছেন, তাকে গাড়িতে করে শিকদার মেডিক্যালে নেওয়া হলো। সেখানেও চিকিৎসা হলো। পরে নেত্রী আমাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলেন।' তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই ঘটনার পর দেড় বছরের মতো প্রতিদিন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম হতো। প্রতিদিন মনে হতো— জীবনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রোগ্রাম করছি। কোনও কিছুর শব্দ শুনলেই মনে হতো— গ্রেনেড হামলা হয়েছে। প্রতিদিন মনে হতো— আজই হয়তো জীবনের শেষ দিন।'

 

-গ্রেনেড হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রযন্ত্র জড়িত ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, '২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার হয়েছে। বিচারে প্রমাণ হয়েছে— ওই সময়ের রাষ্ট্রযন্ত্র এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। খালোদা জিয়াও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা। বিচারপতি জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে গাঁজাখোরী তদন্ত কমিশন গঠন করে। তারা বলেছিল, এই হামলার ঘটনা ইসরায়েলি মোসাদের  সঙ্গে যুক্ত এবং জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল।'  তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই ঘটনা ঘটানোর জন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে আনা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা  মামলায় আমি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছি। ঘটনা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে— একটি রাজনৈতিক দল, একটি সরকার, বিএনপি দলীয় সরকার এভাবে বিরোধী পক্ষকে, সংসদের বিরোধী দলের নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী— তাকে হত্যা করার জন্য এভাবে হামলা পরিচালনা করে। তারা দেশ জাতিকে কিছু দিতে পারে না। তাদের তো রাজনীতি করার অধিকার থাকার উচিত নয়।'  
 

ঘটনার বিচার হয়েছে, কিন্তু দলগতভাবে তো ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। অথচ এই ঘটনায় যার যাবজ্জীবন শাস্তি হয়েছে, তাকে তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে রেখেছে। তো এই দল দেশের জন্য কী করবে? 'জঙ্গিদের দিয়ে বিএনপি আবারও এমন ঘটনা ঘটাতে পারে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ''দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।  নিশ্চিহ্ন করার বড় অন্তরায় তো বিএনপি, তারা ২২ দল না কত দলের জোট করেছে। সেই জোটের মধ্যে জঙ্গি রয়েছে। যারা আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, যারা তালেবানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। তারা তো তাদের জোটের মধ্যে আছে। বিএনপি তাদের বাদ দেয় না। যখন জঙ্গি ধরা হচ্ছিল, তখন খালেদা জিয়া নিজে বলেছেন— 'কিছু লোককে ধরে রাখা হয়, তাদের চুলদাড়ি বড় হলে তাদের জঙ্গি বলা হয়।' যখন জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করা হয়, তখন তো জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন করা কঠিন। দেশ থেকে জঙ্গি নিশ্চিহ্ন হয়েছে তা বলা যাবে না। তবে আমরা দমন করতে সমর্থ হয়েছি।  বিএনপি তাদের (জঙ্গিদের) দিয়ে এ ধরনের ঘটনা যে আবারও ঘটানোর চেষ্টা করবে না তা নয়, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা তো আবারও চেষ্টা করতে পারে।''তারেকের নির্দেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তাকে (তারেক) পার্টির চেয়ারম্যান করেছে। তাকে চেয়ারম্যান করার জন্য গঠনতন্ত্রের ধারা পরিবর্তন করেছে ।'



/ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ /

তাদের গঠনতন্ত্রে ছিল— যদি কেউ দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়, সে বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। সেটি তারা তুলে দিয়েছে। এটি বিএনপির রাজনীতির চরম দৈন্যতা। আর তারেক রহমানের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তারেক রহমানের নির্দেশে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তার সঙ্গে বসে বিএনপি নেতারা জুম মিটিং করে।' দলীয়ভাবেও বিএনপির শাস্তি পাওয়া উচিত উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, '২১ আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা যে রাজনৈতিক দল করতে পারে, যে নেতৃত্ব করতে পারে, তারা দেশ, জাতি সমাজকে কিছু দিতে পারে না।

সত্যিকার  রাজনীতি  করলে  জীবনের  মায়া  বাদ  দিতে  হয়

যারা হামলা পরিচালনা করে, মানুষ হত্যা করে— একটি রাজনৈতিক দলের পুরো নেতৃত্বকে হত্যার অপচেষ্টা চালায়, তারা যদি রাজনীতিতে থাকে, তাহলে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করা কঠিন। প্রথমত, এ রকম হামলা তো হতেই পারে, সেটি মেনে নিয়েই রাজনীতি করছি। অন্য কোনও দেশ হলে তারা (বিএনপি) রাজনীতি করতে পারতো না। ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে রাজনীতি করতে পারতো না। এগুলো চিরতরে বন্ধ করতে হলে তাদের রাজনীতি  বন্ধ করা দরকার। দলীয়ভাবেও তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত।'
 

-জঙ্গিবাদ রোধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রয়োজন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও মাদকাসক্তি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সারা দেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রয়োজন। এটি সম্ভব হলে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ সব ভেসে যাবে। আমরা ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছি। যদিও ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ তারা চাইলেই সবকিছু কমপ্লাই করে না। তবে আগের তুলনায় রেসপনসিভ।  অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকে আসক্তি একটি প্রতিবন্ধকতা। এটি শুধু আমাদের দেশের সমস্যা তা নয়, অনেক দেশেরই সমস্যা।' একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সেদিন যদি সাংবাদিকরা ছবি তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে (তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা) দাঁড় না করাতেন, তাহলে হয়তো তিনি বাঁচতেন না। উনি বক্তৃতা শেষ করে নেমে যাচ্ছিলেন। তখন কয়েকজন ফটোসাংবাদিক এসে বললেন যে— 'আপা, আমরা ছবি পাইনি। আপনি একটু দাঁড়ান আমরা ছবি নেবো।' এই দাঁড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নামেননি। ট্রাকের ওপর গ্রেনেডগুলো পড়েনি। ট্রাকের রেলিংয়ে লেগে নিচে পড়েছে। যদি উনি নিচে নামতেন, তাহলে তিনি হয়তো বাঁচতেন না। মিডিয়াকর্মীরা আহত হয়েছেন। তারা নির্ভীকভাবে কাজ করেছেন। আজ  যে ছবিগুলো আমরা দেখছি, সব তাদের সংগ্রহ। অনেকে নির্ভীকভাবে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিয়েছেন।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত