সর্বশেষ

'আজ আসছেন শেখ হাসিনা, জনসমাবেশ হবে যশোর জুড়েই'

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'আজ বৃহস্পতিবার যশোরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে যশোর স্টেডিয়ামের জনসভায় তিনি ভাষণ দেবেন। এই জনসভাকে কেন্দ্র করে যশোরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে শহরকে। আওয়ামী লীগ নেতারা আশা করছেন যশোরে এবারের জনসভায় ১০ লাখ মানুষ সমবেত হবেন।'
 

'গোটা শহর জুড়ে মানুষ অবস্থান করে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনবেন। জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে দিনরাত কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তৃণমূল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আগমন বার্তা পৌঁছে দিতে তৎপরতা চালানো হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত করা হয়েছে মাইকিং। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুসজ্জিতভাবে নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে অংশ নেবেন। জনসভাকে ঘিরে পুরো যশোরকে ব্যাপক নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলেছে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের সকল সংস্থার সদস্যরা। যশোর স্টেডিয়ামের মূল মঞ্চ ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুরো যশোর জেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা ঘিরে যশোরের নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, বণিতাদের মধ্যে যে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভোরেই স্টেডিয়াম মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, পুরো যশোর শহর সমাবেশস্থলের রূপ নেবে। যশোর অঞ্চলের ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে ও তার কথা শুনতে সমাবেশে আসছেন।' তিনি বলেন, 'জঙ্গিরা এখনও তৎপর রয়েছে। আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক কিছুই করা হয়েছে।' যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, 'যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের জনসভা স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ হবে।'


'এ সমাবেশে আসতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছেন। বিএনপি-জামায়াতের আগামীদিনের তাণ্ডব রুখতে এ সমাবেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ শপথ নিয়ে ঘরে ফিরবেন। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, 'গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মহাসমাবেশ হচ্ছে যশোরে। এটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। মূল স্পট যশোর স্টেডিয়াম হলেও গোটা যশোর হবে লোকে লোকারণ্য। সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশে যোগ দিতে পারে তার সব বন্দোবস্ত করা নেওয়া হয়েছে।'


 

'যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে আসার জন্য ১২টি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। যত্রতত্র কিংবা বাই লেন ব্যবহার করে সভাস্থলে আসা যাবে না। নির্দিষ্ট ড্রপিং পয়েন্ট থেকে নির্দিষ্ট রুট দিয়েই আসতে হবে নেতাকর্মী সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের। এছাড়া সুশৃঙ্খল উপস্থিতির জন্য স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট তিনটি গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বিশাল গণজমায়েতের জন্য বাস, প্রাইভেট ও মাইক্রো মিলিয়ে ৫ হাজারের উপরে যানবাহন আসার সম্ভাবনায় আরও ১০টি পার্কিং পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রী, এমপি ও ভিআইপিদের জন্য আগের নির্ধারিত পার্কিং পয়েন্টই প্রস্তুত থাকবে। সকাল ১০টা থেকেই মাঠে প্রবেশ করা যাবে। রাস্তায় শৃঙ্খলা, শান্তিপূর্ণ ও পরিচ্ছন্ন পার্কিং কার্যক্রম তদারকি করবে ট্রাফিক বিভাগ। সভায় যোগ দিতে যশোর শহরের ড্রপিং পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে সভাস্থলে আসতে হবে। মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা থেকে আসা বাস প্রাইভেট মাইক্রোগুলো ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড অথবা কাঁঠালতলায় নেতাকর্মী সমর্থকদের ড্রপিং করবে। ধর্মতলা থেকে কারবালা গ্যারেজ মোড় আপন মোড় হয়ে স্টেডিয়ামের অফিস গেট দিয়ে সভায় প্রবেশ করবে। আর কাঁঠাল তলা থেকে কাজীপাড়া হয়ে চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড বাজার হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট হয়ে ঢুকবে। ওই চার জেলার লোকজন ঘোপ নওয়াপাড়া রোড ও সেন্ট্রাল রোডে ড্রপ নিয়ে পায়ে হেঁটে হাসপাতাল মোড় হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে। ওই চার জেলার গাড়ি ছুটিপুর রাস্তায় জামতলা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়াও ঘোষপাড়া মসজিদ মাঠ, কাঁঠালতলা ঈদগাহ, নান্টু মিয়ার বাগান, হাউজিং মাঠ ও বাবলাতলা মাইক্রো স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারবে। চৌগাছা উপজেলার নেতা কর্মীরাও একই  রুট ও পার্কিং এবং ড্রপিং নিতে করতে পারবে।'

 

'মাগুরা ও বাঘারপাড়া থেকে আসা যান বাহনগুলো উপশহর এলাকায় ড্রপিং করবে। নেতা কর্মী সমর্থকদের নামিয়ে দিয়ে উপশহর এলাকায় পার্কিং করবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে জেল রোড হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে আবদুর রাজ্জাব কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে।

'আজ আসছেন শেখ হাসিনা,  জনসমাবেশ হবে যশোর জুড়েই'

সাতক্ষীরা বেনাপোল শার্শা ঝিকরগাছা থেকে আসা নেতাকর্মী ভক্ত সমর্থকরা চাঁচড়া মোড়ে ড্রপিং নিয়ে মুজিব সড়ক হয়ে জজকোর্ট মোড় দিয়ে মুসলিম একডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে। গাড়ি পার্কিং করবে সার গোডাউন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বিএডিসি, আদদ্বীন মেডিক্যাল কলেজ মাঠ। মণিরামপুর কেশবপুর থানা এলাকা থেকে আসা লোকজন ওই একই রুট এবং গেট ব্যবহার করবে।'

 

'এছাড়া মণিরামপুর কেশবপুর থেকে আসা নেতা কর্মীরা বাস টার্মিনালে পার্কিং করবে। এরপর সরকারি মুরগির খামার, আশ্রম রোড হয়ে রাসেল চত্বর থেকে সার্কিট হাউজ, জজকোর্ট মোড় হয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিসের পাশ দিয়ে রাজ্জাক কলেজ গেট ব্যবহার  করবে। সাতক্ষীরা বেনাপোল শার্শা ঝিকরগাছা থেকে আসা নেতাকর্মী, ভক্ত ও সমর্থকরা পৌরসভার গেট হয়েও মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন। বাগেরহাট খুলনা জেলা ও অভয়নগর উপজেলা থেকে আসা যানবাহনগুলো মণিহারের সামনে নেতাকর্মীদের ড্রপ করে দেবে এবং মণিহার এলাকা থেকে মুড়লির ওই একই রাস্তায় পার্কিং করবে।  আর পায়ে হেঁটে আর এন রোড হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে।'



 

'গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের নেতা কর্মীদের বহন করে নিয়ে আসা বাস, প্রাইভেট মাইক্রোসহ অন্য ভার্সনের যানবাহনগুলো মণিহারের সামনে ড্রপিং করবে। এছাড়া পার্কিং করতে হবে যশোর সরকারি সিটি কলেজ মাঠ, উপজেলা পরিষদ ও মণিহার বাস টার্মিনাল। নেতা কর্মীরা পায়ে হেঁটে আর এন রোড হয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম একাডেমি পার হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকবে। আর আগের নির্ধারিত জায়গাতেই মন্ত্রী এমপি ভিআইপিরা পার্কিং করবেন এবং সুবিধামত সভার গেট ব্যবহা করবেন। প্রতিমন্ত্রীদের গাড়ি যশোর বাদশা ফয়সল ইন্সটিটিউট, পূর্ণমন্ত্রীদের গাড়ি মুসলিম একাডেমি স্কুল মাঠে পার্কিং করবেন। এছাড়া আগত পূর্ণ মন্ত্রীগনের গাড়ি এমএম কলেজের দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করিয়ে কলেজ মাঠে পার্কিং করতে পারবেন। গাড়ি রেখে তারা  স্টেডিয়ামের পেছনের এমএম কলেজের গেট দিয়ে হয়ে সভাস্থলে যেতে পারবেন। এমপিদের গাড়ির জন্য যশোর টাউন হল মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যশোর শহরের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য যশোর জেলা স্কুল মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে।'


'সর্বশেষ এটাই চুড়ান্ত নির্ধারিত পার্কিং ড্রপিং পয়েন্ট। এছাড়া ১২টি রুট ও তিনটি গেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নির্দিষ্ট নেতাকর্মী বিশেষ সমন্বয় সভা করে এসব সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেছে। যশোর সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সী জানিয়েছেন, সভাস্থলে আসার জন্য নির্দিষ্ট ১২টি রুট নির্ধারন করা হয়েছে। জনসভার দিন শহরে কোনো যানবাহন প্রবেশ করবে না। শহরের অংশ পায়ে হেটেই যেতে হবে। এর আগে গাড়ি পাকিংয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০টি পার্কিং এলাকা নির্ধারণ করা হলেও পরে আরো ১০ পার্কিং পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। লোক উপস্থিতি সম্ভাবনার উপর গাড়ির ধারণা করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের টার্গেট অনুযায়ী ৫ হাজার গাড়ি হয়ে যেতে পারে। সে হিসেবেই ওই ২০টি পার্কিং এলাকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত