সর্বশেষ

'জামিন পেলো নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহান' : হাইকোর্ট

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।'

'বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, দুটি শর্তে শাহজাহানকে জামিন দিয়েছেন আদালত। শর্ত দুটি হলো, দেশের বাইরে যেতে পারবেন না এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না তিনি। গত ২২ মে শাহজাহানসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরদিন ২৩ মে তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। মামলার আসামিরা হলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলাপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।'


'এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিম্যাল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও

'জামিন পেলো নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহান' : হাইকোর্ট

বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে নিজেরা ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন তারা।'

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত