প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের বাকি আর তিন দিন। আগামী ২৭ ডিসেম্বর সেখানে ভোটগ্রহণ করা হবে। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় এখন জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তত নির্বাচন কমিশনের তৎপরতাও বাড়ছে।'
'নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোটের দিন সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে নির্বাচন হবে। এজন্য রংপুরে ৩ হাজারের বেশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চলে এসেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজও শেষের দিকে। এবারের নির্বাচনে মাঠে থাকবেন ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট। ইতোমধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৫ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিন আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর নির্বাচনী এলাকায় ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি।' সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত ইভিএম রংপুর নির্বাচন ভবনে রাখা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনীত ব্যক্তিরা ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টারে উপস্থিত হয়ে কাস্টমাইজেশনের বিভিন্ন দিক অবলোকন করতে পারবেন।'
'তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ভোট চলাকালীন ইভিএমে সমস্যা হলে এক্সপার্ট রয়েছে, তাৎক্ষণিক সমাধান করা হবে। নির্বাচনে যত ইভিএম দরকার তার থেকে দ্বিগুণ ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোট চলাকালীন ইভিএমে ভোটপ্রদান-সংক্রান্ত একটি কাগজের মাধ্যমে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের দেখানো হবে কীভাবে ভোট দিতে হবে। ইতোমধ্যে পোলিং এজেন্ট, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, মক ভোটের আয়োজন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইভিএম নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে আইনের কাঠামোয় যা যা দরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সময়ে প্রশাসনের কেউ হস্তক্ষেপ কিংবা প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করলে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলেছি। এরকম কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজনমতো সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বে থাকবে।'
চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা
'এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নয়জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভোটের মাঠে লাঙ্গল প্রতীক ও ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবার সম্ভবনা রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা না থাকায় ভোটে এর প্রভাব পড়তে পারে। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত
'আগামী ২৭ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচন, প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়'
স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়ালও প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন।' এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু, জাসদের শফিয়ার রহমান ,জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে ৯ জন মেয়র ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৬৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ১৮৩ জনসহ মোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।'