/ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে রিহ্যাব আবাসন মেলা। ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেডের বসুন্ধরা আবাসন স্টলের সামনে ভিড় /
২৪খবরবিডি: 'রাজধানীর রামপুরা থেকে আগত আবদুল করিম এসেছেন প্লট কিনতে। তিনি বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমরা কয়েকজন ছোট ব্যবসায়ী মিলে একটি সমিতি করেছি। এই সমিতিতে আমরা মাসিক ভিত্তিতে টাকা জমাই। আমাদের জমানো টাকা দিয়ে আমরা বসুন্ধরায় প্লট ক্রয় করতে চাই। কারণ এখানে জমিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।'
'বছরেই বিনিয়োগের দ্বিগুণ পাওয়া যায়। তাই রিহ্যাব মেলায় তাদের প্লট বিষয়ে জানতে এসেছি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে রিহ্যাব আবাসন মেলা। গতকাল সরকারি ছুটি থাকায় ক্রেতা সমাগম বেশি হয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের ফ্ল্যাট এবং প্লট এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরছেন ক্রেতাদের কাছে। একসঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির ফ্ল্যাট ও প্লটের খোঁজ নিয়েছেন ক্রেতারা। ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেডের বসুন্ধরা আবাসন স্টলের সামনে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মো. আখতারুজ্জামান লিখনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে ব্র্যান্ডিং করার কিছু নেই। আমরাই একমাত্র হাউজিং কোম্পানি প্রতিটি প্লট যথাসময়ে গ্রাহককে বুঝিয়ে দিই। আমাদের প্রকল্পে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যা গ্রাহকের সব ধরনের চাহিদা পূরণ করে। আমাদের প্রজেক্টগুলোয় বছরজুড়েই গ্রাহকরা প্লট কিনছেন। বসুন্ধরা এম ও এন ব্লকে বর্তমানে বিক্রি চলমান রয়েছে। এককালীন মূল্য পরিশোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে হস্তান্তর করা হবে। এ ধরনের প্লটে এখনই বাড়ি করা সম্ভব। সামনের বছর আমাদের নতুন প্রকল্প আসবে, তখন কিস্তিতে বিক্রয় করা হবে। মেলায় অনেকেই আসেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। কেউ আসেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে। এক ছাদের নিচে গৃহঋণসহ নির্মাণসামগ্রীর সমাহার থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সাধারণ ক্রেতারা। সাধ এবং সাধ্যের সমন্বয় করতে প্রতিবছরের মতো এবারও ক্রেতারা ছোট ফ্ল্যাটের খোঁজ করছেন বেশি। আগতদের অনেকেই ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট বা প্লট দেখছেন, কেউ কেউ মেলাতেই বুকিং সম্পন্ন করছেন। কনকর্ড রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সেলসের এজিএম মো. আমিনুর রহমান বলেন, মেলায় আমরা খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনেক ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। মেলায় মধ্যম ও উচ্চ শ্রেণির মানুষ আসে।'
'এখানে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সঙ্গে মানুষ আমাদের তুলনা করতে পারে। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে কোয়ালিটি। আমাদের কাছে রয়েছে ১৫০০ স্কয়ার ফিট থেকে ৫৫০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট। বাণিজ্যিক ১৭০০ থেকে সাড়ে ১০ হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট। ডলার বা কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি হলেও আমরা গ্রাহকের কথা বিবেচনায় নিয়ে দাম বাড়াইনি। কুমিল্লা থেকে এসেছেন মুকবুল হোসেন।
'রিহ্যাব আবাসন মেলায় ক্রেতাদের ভিড়, বসুন্ধরায় আস্থা ক্রেতাদের'
তিনি বলেন, অনেক আগেই পরিকল্পনা ছিল এই নগরীতে আবাসনের ব্যবস্থা করার। কিন্তু ব্যস্ততা আর অর্থের স্বল্পতার কারণে এত দিনে হয়ে ওঠেনি। নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে এবার ফ্ল্যাটের স্বপ্ন দেখছি। এ জন্য মেলাতে এসেছি, ঘুরে ঘুরে দেখছি। মোহাম্মদপুর এলাকায় কোনো ফ্ল্যাট সাধ্যের মধ্যে হলেই বুকিং দেব। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া রিহ্যাব ফেয়ার শেষ হবে ২৫ ডিসেম্বর, দুপুর ২টায়।'
'রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান থাকার কারণে ২৫ ডিসেম্বর রাত ৯টার পরিবর্তে দুপর ২টায় মেলা শেষ হবে। এবারের ফেয়ারে মোট ১৮১টি স্টল রয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় প্লট, ফ্ল্যাট, বিক্রি, নির্মাণসামগ্রী এবং হোম লোনের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। রয়েছে তিনটি ডায়মন্ড প্যাভিলিয়ন, সাতটি গোল্ড স্পন্সর, ২২টি কো-স্পন্সর, ১৩টি বিল্ডিং ম্যাটারিয়ালস এবং ১০টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের স্টল। অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় করছেন আগত ক্রেতারা। ফ্ল্যাটের দাম বাড়ায় অনেকেই লোনের বিষয়টা আগে নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন। এবারের মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি অপরটি মাল্টিপল এন্ট্রি। সিঙ্গেল টিকিটের প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এ বছর প্রতিদিন র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। র্যাফেল ড্রতে এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্রিজ পুরস্কার দেওয়া হবে।'