প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'সংবিধানের পঞ্চম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মোট ১০৯টি 'অসম্পূর্ণতা'-'অমিল' চিহ্নিত করেছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। ২০২০ সালে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয় এই কমিটি গঠন করে। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই কমিটির পক্ষে ৭ মার্চের ভাষণ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ রেজাউল হক। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম মিয়া জুয়েল ও সুবীর নন্দী দাস।'
-২০১৯ সালের ২২ আগস্ট পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন পড়ার পর রাজবাড়ীর কাশেদ আলী অষ্টম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে 'এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' গদ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে ৫০টিরও বেশি 'ভুল' খুঁজে পান। এরপর ভুলগুলো সংশোধনের জন্য ওই বছর ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের দপ্তরে আবেদন করেন। তাতে সাড়া না পেয়ে ২০২০ সালের ৫ মার্চ হাইকোর্টে এই রিট করেন কাশেদ আলী। রিট আবেদনে স্বাধীনতার প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ওই ভাষণ সংবিধান ও পাঠ্যপুস্তকে 'ভুলভাবে অন্তর্ভুক্ত করার' বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
সংবিধানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ভাষণে শতাধিক ভুল, হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল
-পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ২০২০ সালের ১০ মার্চ রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তপশিলে 'অসম্পূর্ণ' ও 'ভুলভাবে' অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণের সময় সমাবেশে উপস্থিত থেকে যারা ভাষণটি সরাসরি শুনেছেন, তাঁদের অংশগ্রহণে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছিল।
'হাইকোর্টের এই নির্দেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ টেলিভিশনের তখনকার মহাপরিচালক এসএম হারুন-অর-রশীদকে সভাপতি ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে '৭ মার্চের ভাষণ নিশ্চিতকরণ কমিটি' নামে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে তথ্য মন্ত্রণালয়। এতে সদস্য হিসেবে রাখা হয় বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান (প্রয়াত), ইতিহাসবিদ-লেখক মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপপরিচালক আশফাকুর রহমান খান, বাংলাদেশ বেতারের তখনকার মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়াকে। এরই ধারাবাহিকতায় এই কমিটি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে হাইকোর্টে দাখিল করে।'