প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা ঘর একটা মানুষের জীবন পাল্টে দেয়। ঘর পাওয়া মানুষের মুখের সেই হাসিই জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া, এরচেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না।'
-এসময় তিনি বলেন, আশ্রয়ণ একটি মানুষের ঠিকানা। জীবন-জীবিকার একটি সুযোগ, বেঁচে থাকা, স্বপ্ন দেখা এবং তা বাস্তবায়ন করার। যে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, সে বাংলাদেশের কোনও মানুষ যেন ঠিকানাবিহীন না থাকে, তাদের জীবনটা যেন অর্থহীন হয়ে না যায়, তাদের জীবনটা যেন সুন্দর হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই এই উদ্যোগটা সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুই নিয়েছিলেন।
-প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের ১৪ নভেম্বর যখন ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয় তখন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছিল। সে নির্বাচনের কাজ ছেড়ে দিয়ে জাতির পিতা পৌঁছে গিয়েছিলেন দুর্গত মানুষে পাশে। ভোলা, পটুয়াখালীসহ অনেক জায়গায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালেন, দেখেছেন মানুষের দুর্দশা। তারপর থেকেই দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর চিন্তা-ভাবনা ছিল। একাত্তর সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সেই চিন্তার বাস্তবায়ন করেছিলেন। ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেন। সিদ্ধান্ত নেন খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করার। ১০০ বিঘার উপর কেউ জমি রাখতে পারবে না ভূমি ব্যবস্থাপনায় এমন নীতি গ্রহণ করেন। তাদের বাড়তি জমি খাস জমি হয়ে যাবে। এসব জমি ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত তিনি এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করেন। দুর্ভাগ্য যে, সেটা তিনি শেষ করে যেতে পারেননি।
-তিনি বলেন, এবারে তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আমরা ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠিকানা দিতে পারছি বলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।' এই কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
'' ইতোমধ্যে আমরা ৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৫ জন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে তাদের নিজস্ব ঘরে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে পেরেছি। আমরা চাই এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের কোনও মানুষ যেন আর ছিন্নমূল না থাকে। সে ব্যবস্থাই আমরা নেব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশ্রয়ণ প্রকল্প শুরু হওয়ার পর মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৭০টি পরিবারের পুনর্বাসন হয়েছে।
একটা ঘর পাওয়া মানুষের মুখের সেই হাসিই জীবনের বড় প্রাপ্তি: প্রধানমন্ত্রী
-১৯৯৭ সালে আমরা পুনর্বাসনের যে কাজ শুরু করেছিলাম তা হিসাব করলে এ পর্যন্ত আমরা ৭ লাখ ১১ হাজার ২৬৩টি পরিবারকে ঘর তৈরি করে দিয়েছি। প্রতি পরিবারে ৫ জন হিসাবে ঘরগুলোতে মোট আশ্রয় পেয়েছেন ৩৫ লাখ ৫ হাজার ৩১৫ জন। এর পাশাপাশি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, তাছাড়া সচিবরা উদ্যোগ নিয়ে দিয়েছে, পুলিশবাহিনী, সেনাবাহিনীসহ সমাজের অনেক মানুষ গৃহহীনদের ঘর বানিয়ে দেওয়ায় এগিয়ে এসেছেন। ফলে আমি বিশ্বাস করি, এ দেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না।'